সর্বকালের সেরা প্রেমের গল্প! What is the greatest love?
পয়দায়েশ ১:২৭-২৮ পরে আল্লাহ্ তাঁর মত করেই মানুষ সৃষ্টি করলেন। হ্যাঁ, তিনি তাঁর মত করেই মানুষ সৃষ্টি করলেন, সৃষ্টি করলেন পুরুষ ও স্ত্রীলোক করে।আল্লাহ্ তাঁদের দোয়া করে বললেন, “তোমরা বংশবৃদ্ধির ক্ষমতায় পূর্ণ হও, আর নিজেদের সংখ্যা বাড়িয়ে দুনিয়া ভরে তোলো।”
পয়দায়েশ ১:৩১ আল্লাহ্ তাঁর নিজের তৈরী সব কিছু দেখলেন। সেগুলো সত্যিই খুব চমৎকার হয়েছিল।
পয়দায়েশ ২:১৫-১৭ মাবুদ আল্লাহ্ সেই মানুষটিকে নিয়ে আদন বাগানে রাখলেন যাতে তিনি তাতে চাষ করতে পারেন ও তার দেখাশোনা করতে পারেন। পরে মাবুদ আল্লাহ্ তাঁকে হুকুম দিয়ে বললেন, “তুমি তোমার খুশীমত এই বাগানের যে কোন গাছের ফল খেতে পার; কিন্তু নেকী-বদী-জ্ঞানের যে গাছটি রয়েছে তার ফল তুমি খাবে না, কারণ যেদিন তুমি তার ফল খাবে সেই দিন নিশ্চয়ই তোমার মৃত্যু হবে।”
পয়দায়েশ ৩:৪-১০ তখন সাপ স্ত্রীলোকটিকে বলল, “কখনও না, কিছুতেই তোমরা মরবে না। আল্লাহ্ জানেন, যেদিন তোমরা সেই গাছের ফল খাবে সেই দিনই তোমাদের চোখ খুলে যাবে। তাতে নেকী-বদীর জ্ঞান পেয়ে তোমরা আল্লাহ্র মতই হয়ে উঠবে।” স্ত্রীলোকটি যখন বুঝলেন যে, গাছটার ফলগুলো খেতে ভাল হবে এবং সেগুলো দেখতেও সুন্দর আর তা ছাড়া জ্ঞান লাভের জন্য কামনা করবার মতও বটে, তখন তিনি কয়েকটা ফল পেড়ে নিয়ে খেলেন। সেই ফল তিনি তাঁর স্বামীকেও দিলেন এবং তাঁর স্বামীও তা খেলেন। এতে তখনই তাঁদের দু’জনের চোখ খুলে গেল। তাঁরা বুঝতে পারলেন যে, তাঁরা উলংগ অবস্থায় আছেন। তখন তাঁরা কতগুলো ডুমুরের পাতা একসংগে জুড়ে নিয়ে নিজেদের জন্য খাটো ঘাগ্রা তৈরী করে নিলেন। যখন সন্ধ্যার বাতাস বইতে শুরু করল তখন তাঁরা মাবুদ আল্লাহ্র গলার আওয়াজ শুনতে পেলেন। তিনি বাগানের মধ্যে বেড়াচ্ছিলেন। তখন আদম ও তাঁর স্ত্রী বাগানের গাছপালার মধ্যে নিজেদের লুকালেন যাতে মাবুদ আল্লাহ্র সামনে তাঁদের পড়তে না হয়। মাবুদ আল্লাহ্ আদমকে ডেকে বললেন, “তুমি কোথায়?” তিনি বললেন, “বাগানের মধ্যে আমি তোমার গলার আওয়াজ শুনেছি। কিন্তু আমি উলংগ, তাই ভয়ে লুকিয়ে আছি।”
মৃত্যুর গুনাহর ভাইরাস আদম এবং হাওয়ার গুনাহের দ্বারা মানুষের রক্তপ্রবাহে প্রবর্তিত হয়েছিল। আল্লাহ বিস্মিত হননি এবং কেননা তার প্রেমের গল্পের ২য় অধ্যায়টি পৃথিবীর ভিত্তির আগে এবং আদম + হাওয়ার সৃষ্টির আগে তৈরি করেছিলেন।
আল্লাহর নাজাতের পরিকল্পনা আমাদের জন্য ইউহোন্না ১ + ৩ অধ্যায়ে -এ সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হয়েছে। তাঁর নাজাতের পরিকল্পনার চূড়ান্ত খরচ মেষশাবকের বিবাহের নৈশভোজ দ্বারা হাইলাইট করা হয়েছে যা আমাদের জন্য সংক্ষেপে ২১ এবং ২২ অধ্যায়ে এ সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে।
ইউহোন্না ৩:১৬-১৭ “আল্লাহ্ মানুষকে এত মহব্বত করলেন যে, তাঁর একমাত্র পুত্রকে তিনি দান করলেন, যেন যে কেউ সেই পুত্রের উপর ঈমান আনে সে বিনষ্ট না হয় কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। আল্লাহ্ মানুষকে দোষী প্রমাণ করবার জন্য তাঁর পুত্রকে দুনিয়াতে পাঠান নি, বরং মানুষ যেন পুত্রের দ্বারা নাজাত পায় সেইজন্য তিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন।
ইউহোন্না ১:১২ তবে যতজন তাঁর [ঈসার] উপর ঈমান এনে তাঁকে গ্রহণ করল তাদের প্রত্যেককে তিনি আল্লাহ্র সন্তান হবার অধিকার দিলেন।
প্রকাশিত কালাম ১৯:৭-৯ এস, আমরা মনের খুশীতে খুব আনন্দ করি আর তাঁর প্রশংসা করি, কারণ মেষ-শাবকের বিয়ের সময় হয়েছে এবং তাঁর কনে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। উজ্জ্বল, পরিষ্কার ও মিহি মসীনার কাপড় তাকে পরতে দেওয়া হয়েছে। সেই কাপড় হল আল্লাহ্র বান্দাদের বাধ্যতা।” তারপর সেই ফেরেশতা আমাকে বললেন, “এই কথা লেখ, ‘মেষ-শাবকের বিয়ের ভোজে যাদের দাওয়াত করা হয়েছে তারা ধন্য।’ ” তিনি এই কথাও বললেন, “এগুলো আল্লাহ্রই কথা এবং তা সত্য।”
প্রকাশিত কালাম ২১:৩-৪ তারপর আমি একজনকে সেই সিংহাসন থেকে জোরে এই কথা বলতে শুনলাম, “এখন মানুষের মধ্যে আল্লাহ্র থাকবার জায়গা হয়েছে। তিনি মানুষের সংগেই থাকবেন এবং তারা তাঁরই বান্দা হবে। তিনি নিজেই মানুষের সংগে থাকবেন এবং তাদের আল্লাহ্ হবেন। তিনি তাদের চোখের পানি মুছে দেবেন। মৃত্যু আর হবে না; দুঃখ, কান্না ও ব্যথা আর থাকবে না, কারণ আগেকার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।”
প্রকাশিত কালাম ২২:৩-৫ আল্লাহ্র ও মেষ-শাবকের সিংহাসন সেই শহরে থাকবে এবং তাঁর গোলামেরা তাঁর এবাদত করবে। তারা তাঁর মুখ দেখতে পাবে এবং তাঁর নাম তাদের কপালে লেখা থাকবে। রাত আর থাকবে না এবং তাদের আর বাতির আলো বা সূর্যের আলোর দরকার হবে না, কারণ মাবুদ আল্লাহ্ নিজেই তাদের আলো হবেন। তারা চিরকাল ধরে রাজত্ব করবে।
রোমীয় ৮:১৪-১৭ কারণ যারা আল্লাহ্র রূহের পরিচালনায় চলে তারাই আল্লাহ্র সন্তান। তোমরা তো গোলামের মনোভাব পাও নি যার জন্য ভয় করবে; তোমরা আল্লাহ্র রূহ্কে পেয়েছ যিনি তোমাদের সন্তানের অধিকার দিয়েছেন। সেইজন্যই আমরা আল্লাহকে আব্বা, অর্থাৎ পিতা বলে ডাকি। পাক-রূহ্ও নিজে আমাদের দিলে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমরা আল্লাহ্র সন্তান। আমরা যদি সন্তানই হয়ে থাকি তবে আল্লাহ্ তাঁর সন্তানদের যা দেবেন বলে ওয়াদা করেছেন আমরা তা পাব। মসীহ্ই আল্লাহ্র কাছ থেকে তা পাবেন আর আমরাও তাঁর সংগে তা পাব, কারণ আমরা যদি মসীহের সংগে কষ্টভোগ করি তবে তাঁর সংগে মহিমারও ভাগী হব।
রোমীয় ৮:৩৫-৩৯ কাজেই এমন কি আছে যা মসীহের মহব্বত থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে দেবে? যন্ত্রণা? মনের কষ্ট? জুলুম? খিদে? কাপড়-চোপড়ের অভাব? বিপদ? মৃত্যু? পাক-কিতাবে লেখা আছে, তোমার জন্য সব সময় আমাদের কাউকে না কাউকে হত্যা করা হচ্ছে; জবাই করার ভেড়ার মতই লোকে আমাদের মনে করে। কিন্তু যিনি তোমাদের মহব্বত করেন তাঁর মধ্য দিয়ে এই সবের মধ্যেও আমরা সম্পূর্ণভাবে জয়লাভ করছি। আমি এই কথা ভাল করেই জানি, মৃত্যু বা জীবন, ফেরেশতা বা শয়তানের দূত, বর্তমান বা ভবিষ্যতের কোন কিছু কিংবা অন্য কোন রকম শক্তি, অথবা আসমানের উপরের বা দুনিয়ার নীচের কোন কিছু, এমন কি, সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে কোন ব্যাপারই আল্লাহ্র মহব্বত থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে দিতে পারবে না। আল্লাহ্র এই মহব্বত আমাদের হযরত ঈসা মসীহের মধ্যে রয়েছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রেমের গল্প! বেগুনাহ হজরত ঈসা, দোষী ব্যক্তিদের জন্য মারা গিয়েছিলেন, যাতে আপনি এবং আমি, যাতে আমরা আল্লাহর সাথে একটি চিরন্তন প্রেমময় সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করতে পারি। সেই সম্পর্কের মধ্যে আমরা চিরকাল আনন্দ পাব:
জবুর ১৬:১১ জীবনের পথ তুমি আমাকে শিখিয়েছ;
তোমার দরবারে থাকায় আছে পরিপূর্ণ আনন্দ
আর তোমার ডান পাশে রয়েছে চিরকালের সুখ।