আপনার প্রশ্ন: ঈসা যে আল্লাহ এ বিষয়ে ইঞ্জিল কি বলে বা কোথায় লেখা আছে?
উত্তর: ঈসা নিজেকে আল্লাহ হিসেবে অনেক বার ঘোষণা দিয়েছেন। আমাদের কাছে এ বিষয়ে সবচেয়ে স্পষ্ট ঘোষণা ইউহোন্না ৫:১৮-২৩ আছে। ঈসার আল্লাহত্ব নিয়ে এই স্পষ্ট ঘোষণা দেওয়ার কারণ ছিলো তৎকালীন ইহুদীদের ধর্মীয় নেতারা। ইহুদীদের ধর্মীয় নেতারা স্পষ্টভাবে বিশ্বাস করতো যে, ঈসা নিজেকে ইবনুল্লাহ ঘোষণা করার মাধ্যমে, পিতা আল্লাহর সাথে নিজেকে সমকক্ষ ঘোষণা করেছেন।
ধর্মীয় নেতারা ঠিকভাবেই বুজতে পেরেছিল যা ঈসা সরাসরি ঘোষণা দিয়েছিলেন, এইজন্যই তারা ঈসাকে আল্লাহনিন্দা দিয়েছিল এবং তাঁকে মেরে ফেলেছিল। এই কারণেই, ঈসা সম্পূর্ণভাবে জানতেন যে, তিনি ইবনুল্লাহ হিসেবে আল্লাহর বিষয়ে সত্য এবং তাঁর সমতা তুলে ধরেছিলেন। তিনি সমুদয় জগতকে ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি, তিনিই আল্লাহ।
কিতাবুল মোকাদ্দাস অসংখ্য ঘটনা তুলে ধরেছেন যেখানে তিনি একই বিষয় বার বার বলেছেন যা হলো তিনি ইবনুল্লাহ এবং আল্লাহর সমকক্ষ।
এই ভিডিওটি দেখি; No Other Name https://vimeo.com/924125840
ইউহোন্না ৫:১৬-২৩ বিশ্রামবারে ঈসা এই সব কাজ করছিলেন বলে ইহুদী নেতারা তাঁকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করলেন। তখন তিনি সেই নেতাদের বললেন, “আমার পিতা সব সময় কাজ করছেন এবং আমিও করছি।” ঈসার এই কথার জন্য ইহুদী নেতারা তাঁকে হত্যা করবার জন্য উঠে পড়ে লাগলেন, কারণ তিনি যে কেবল বিশ্রামবারের নিয়ম ভাংছিলেন তা নয়, আল্লাহ্কে নিজের পিতা বলে ডেকে নিজেকে আল্লাহ্র সমানও করছিলেন। এতে ঈসা সেই নেতাদের বললেন, “আমি সত্যিই আপনাদের বলছি, পুত্র নিজ থেকে কিছুই করতে পারেন না। পিতাকে যা করতে দেখেন কেবল তা-ই করতে পারেন, কারণ পিতা যা করেন পুত্রও তা-ই করেন। পিতা পুত্রকে মহব্বত করেন এবং তিনি নিজে যা কিছু করেন সমস্তই পুত্রকে দেখান। তিনি এগুলোর চেয়ে আরও মহৎ মহৎ কাজ পুত্রকে দেখাবেন, যেন পুত্রকে সেই সব কাজ করতে দেখে আপনারা আশ্চর্য হন। পিতা যেমন মৃতদের জীবন দিয়ে উঠান ঠিক তেমনি পুত্রও যাকে ইচ্ছা করেন তাকে জীবন দেন। পিতা কারও বিচার করেন না, কিন্তু সমস্ত বিচারের ভার পুত্রকে দিয়েছেন, যেন পিতাকে যেমন সবাই সম্মান করে তেমনি পুত্রকেও সম্মান করে। পুত্রকে যে সম্মান করে না, যিনি তাঁকে পাঠিয়েছেন সেই পিতাকেও সে সম্মান করে না।